বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্য সাবিনার চিরবিদায়
আপডেটঃ 8:32 pm | September 27, 2017

ধোবাউড়া(ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা: কলসিন্দুরের ফুটবল কন্যা সাবিনা আক্তার চলে গেল না ফেরার দেশে। বুধবার সকাল ১০ টায় কলসিন্দুর মাদ্রাসা মাঠে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসন ও জেলা ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সাবিনাকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের ময়মনসিংহের উপপরিচালক আবদুল খালেক, জেলা ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ,
উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মজনু মির্ধা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহদী হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান আকন্দ, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ বিশ্বাস বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন,
সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত উসমান, অধ্যাপক নাজমুল হকসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। স্ট্রাইকার সাবিনার মৃত্যুতে কলসিন্দুরের ফুটবল কন্যাদের মাঝে নেমেছে শোকের ছায়া ।
খেলার সাথী, চলার সাথী হারানোর বেদনায় সানজিদা, মার্জিয়া, তহুরা, সামছুন্নাহার, হালিমাসহ অন্য খেলোয়ারদের বুকফাটা আর্তনাদে মনের অজান্তেই গড়িয়ে পড়ছে সেখানকার সাধারণ মানুষের চোখেঁর চল । খেলোয়ারদের কান্না থামাতে কোন শান্তনার বানীই কাজে আসছেনা শিক্ষক ও অভিভাবকদের।
সকল প্রতিকূলতা হার মানিয়ে কলসিন্দুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মফিজ স্যার এর হাতে গড়া সাবিনা তিলতিল করে নিজেকে যখন আগামী দিনের বাংলাদেশের তারকা ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে একের পর এক ধাপ পাড়ি দিচ্ছে তখনি এল এই দু:সংবাদ।
সাবিনা কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে ফুটবল খেলা শুরু করে । লেখাপাড়া ও খেলাধুলায় সে ছিল সমান পারদর্শী।
সাবিনার মৃত্যু কেড়ে নিল এক অসহায় মায়ের ভালভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন। সাবিনা বেঁচে থাকলে তার বিধবা মায়ের ভিটে হতো, বাড়ী হতো। একমাত্র ছোট ভাইটির ভ্যান চালাতে হতোনা। কালের আবর্তনে ম্লান হয়ে যাবে সাবিনার নাম।
সবাই ভূলে যাবে এই অসহায় পরিবারটিকে। তবু গারো পাহাড়ের পাদদেশের এই বিল্পবী মায়ের আশা, তার মেয়ে যেন জান্নাতবাসী হয়। পুত্রটিকে মানুষ করাই এখন তাঁর আগামী দিনের স্বপ্ন।