রাষ্ট্রভাষার দাবীতে স্কুলে বহিস্কৃত প্রয়াত ছালেহা বেগমকে ভাষা সৈনিক স্বীকৃতির জন্য ময়মনসিংহে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
আপডেটঃ 7:51 pm | June 17, 2022

মো নাজমুল হুদা মানিক ॥ ১৯৫২ সালে ময়মনসিংহের মুসলিম গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন ছালেহা বেগম। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে স্কুলে লেখাপড়া অবস্থায় ১৯৫২ সালে কালো পতাকা উত্তোলন ও ছাত্রীদের মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার কারনে তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ময়মনসিংহ মুসলিম গার্লস হাই স্কুল কর্তৃক বহিস্কার করে। ঐসময় সমগ্র পুর্ব পাকিস্থানে বর্তমান বাংলাদেশে তিন বছরের জন্য রাষ্ট্রিকেট করা হয়। যা তৎকালীন উপমহাদেশে কোন স্কুল শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সব চেয়ে দৃষ্টান্ত মুলক কঠিন ও ঘৃন্যতম সিদ্বান্ত। স্কুল থেকে বহিস্কারের কারনে মেধাবী ছাত্রী ছালেহা বেগমের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। জীবনের দিক পরিবর্তন হয়ে যায়। ভেঙ্গে যায় বড় হওয়ার স্বপ্ন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ইতি ঘটে। রাষ্টিকেট হওয়ার করেনে তিন বছর ঘরে বসিয়ে রেখে আবার লেখাপড়া করানোর পরিবেশ তখন ছিলনা। তাই অল্প বয়সেই বিয়ে দিতে বাধ্য হন অভিভাবকরা। বহিস্কার আদেশের কারনে তিনি আজীবন ভুক্তভোগী হয়ে ২০০৪ সনের ১৯ আগষ্ট পরলোক গমন করেন। পরবর্তীতে ২০২০ সনের ১৭ জানুয়ারী ভাষা সৈনিক রওশন আরা বাচ্চু এর মরনোত্তর জন্মদিন পালন শেষে বিশিষ্ট ভাষা গবেষক মো: তাজুল ইসলামের লেখা সংগ্রামী সাত নারী বইটি পড়ে সংগ্রামী ছালেহা বেগমের কথা জানতে পারেন তাঁর পরিবার। ১৯৫২ সালে স্কুলে বহিস্কৃৃত প্রয়াত ছালেহা বেগম এর ভাষা সৈনিক স্বীকৃতির দাবীতে ছালেহা বেগম ভাষা সৈনিক স্বীকৃতি আদায় পর্ষদ এর উদ্যোগে ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলন কার্যালয়ে ১৭ জুন বিকাল সাড়ে তিনটায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছালেহা বেগম ভাষা সৈনিক স্বীকৃতি আদায় পর্ষদের আহবায়ক ও ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্বা ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমিন কালাম এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কবি স্বাধীন চৌধুরীর পরিচালনায় জেলা নাগরিক আন্দোলন এর সহ সাধারণ সম্পাদক কাজী আজাদ জাহান শামীম, সহ সাধারন সম্পাদক এডভোকেট শিব্বীর আহমেদ লিটন, সৈয়দা রোকেয়া আফসারী শিখা, মুুিক্তযুদ্ধের গবেষক বিমল পাল, প্রয়াত ছালেহা বেগম পুত্র লেখক ও গবেষক সৈয়দ শাকিল আহাদ, এডভোকেট সৈয়দা ফরিদা আক্তার, সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল ইসলাম, নাগরিক আন্দোলনের কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, নিরাপদ সড়ক চাই ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের মুন্না, সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রতন, শিক্ষক নেতা সুলতান আহমদ, সাংস্কৃতিক সংগঠক আবুল মনসুর আহমেদ, অধ্যক্ষ নুরজাহান বেগম, সিনিয়র শিক্ষক অহনা নাসরিন, নারী নেত্রী নাদিরা সুলতানা হ্যাপী, ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তফা মো: খাইরুল সহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।