ময়মনসিংহে সাবেক স্বামীর ছোড়া এসিডে স্ত্রী-ছেলে দগ্ধ
আপডেটঃ 12:25 pm | December 16, 2019

ময়মনসিংহে সাবেক স্বামীর ছোড়া এসিডে রূপালী আক্তার রূপা (২৫) ও তার শিশুপুত্র রোহান (৫) দগ্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ শহরের সারদা ঘোষ রোডে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় রূপার সাবেক স্বামী হাফিজুর রহমানকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
দগ্ধ রূপা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এবং ছেলে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ৮নং ওয়ার্ডে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন আছে হাফিজুর।
ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত সুপার হুমায়ুন করির জানান, পরকীয়ার জেরে এক বছর আগে তাদের ডিভোর্স হয়। পরে রূপা দেনমোহরের মামলা করে এবং আদালত ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা রূপাকে দেয়ার রায় দেন। আদালতের রায়ের জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে । এতে মা-ছেলে গুরুতর দগ্ধ হয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং হাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়েছে।
ত্রিশাল পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রুহুল আমিনের মেয়ে রূপার সাথে ৭ বছর আগে উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের ভূইয়াবাড়ীর মোতালেব সরকারের ছেলে হাফিজুলের সাথে বিয়ে হয়। ৬ বছরের সংসারে তাদের ৫ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এক বছর আগে পরকীয়ার সন্দেহের জেরে রূপাকে ডিভোর্স দেয় হাফিজুল। দুই মাস আগে হিমেল নামের এক জনের সাথে পারিবারিক ভাবে তার কাবিন হয় বলে জানায় রূপা।
রূপার বড় ভাইয়ের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার জানান,ডিভোর্সের পর দেনমোহর মামলায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটায় হাফিজুল।
রূপার শরীর ২৫ শতাংশ ঝলসে গেছে, জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক কাওসার ভূইয়া। তিনি বলেন, রূপার হাত, পা, বুকের কিছু অংশ এবং পুরু মুখমণ্ডল ঝলসে গেছে। রোহানের বাম চোখ, হাত ও পিঠের অংশ পুড়ে গেছে।