২০শে ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ৯টায় দৌলতদিয়া যৌনপল্লী সংলগ্ন কবরস্থান মাঠে রিনা বেগমের জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা জামে মসজিদের ইমাম মোঃ আবু বক্কার সিদ্দিকির ইমামতিতে দ্বিতীয়বারের মতো ইসলাম ধর্মীয় রীতি মেনে অনুষ্ঠিতব্য এ জানাজায় রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফকীর আব্দুল জব্বার, রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসক ও অপরাধ) মোঃ সালাউদ্দীন শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ হেডকোয়াটার্স) মোঃ ফজলুর করিম, গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহমানসহ গোয়ালন্দ উপজেলার প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে।
জানাজায় অংশ নেয়ার পর রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ হাবিবুর রহমান স্যারের নির্দেশনায় দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর খেটে খাওয়া মানুষের মানবিক দিকগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক রাজবাড়ী জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। ধর্মীয় বিষয়টি কারো উপর চাপানো ঠিক নয় তাই গোয়ালন্দ ঘাট থানা মসজিদের ইমামকে দিয়ে আজকের জানাজা পড়ানো হয়েছে। আগামীতে ধর্মীয় রীতি মেনে এই জানাজা ও দাফনের কাজ অব্যহত থাকবে।’
উল্লেখ্য, এ মাসের ২রা ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে ইসলাম ধর্মের রীতি মেনে প্রথমবারের মতো হামিদা বেগম নামে এক যৌনকর্মীর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।
প্রথমবারের মতো ইসলাম ধর্মের রীতি মেনে হামিদা বেগমের জানাজা নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হবার পর সেই ইমাম গোলাম মোস্তফা এবার রিনা বেগমের জানাজায় অংশগ্রহণ করেননি।