১৭তম সমাবর্তন আন্তর্জাতিক মান অর্জনে আইইউবি’র প্রশংসা শিক্ষামন্ত্রীর
আপডেটঃ 8:51 pm | March 24, 2016

আলোকিত ময়মনসিংহ : শিক্ষা ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অর্জনে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) প্রশংসা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
মন্ত্রী বলেছেন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠলগ্ন থেকে গবেষণায় গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার আন্তর্জাতিক মান অর্জনে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সঙ্গে তাদের সমঝোতা-অভিজ্ঞতা ও শিক্ষার্থী বিনিময়ের চুক্তি রয়েছে। যা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি ও ইউনিভার্সিটির আচার্য মো. আবদুল হামিদের প্রতিনিধি হিসেবে সমাবর্তনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরার পর তাদের গ্রাজুয়েশন ঘোষণা করেন।
সমাবর্তনে ১ হাজার ৩শ’ ৮৮ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হলো। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে ইউনিভার্সিটির ইউটিউব চ্যানেল।
বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, মেধাবী অথচ দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি (আইইউবি) বিশেষ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত শিক্ষাবৃত্তির পাশাপাশি ঢাকা শহরের বাইরের সুবিধাবঞ্চিত ছাত্রীদের শিক্ষায় সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে রাজধানীর বারিধারায় ‘সায়মা আবাসিক হল’ স্থাপন করা হয়েছে।
এ ধরনের উদ্যোগের জন্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
আইইউবি’র স্নাতক ও স্নাতকোত্তরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শেষ হলেও এখন কর্মজীবন শুরু হবে। এ পর্যন্ত অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বাস্তব কর্মজীবনে প্রয়োগ ঘটাতে হবে। শিক্ষা জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের কোনো শেষ নেই।
মন্ত্রী আরও বলেন, অর্জিত জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে হবে সমাজের কম আলোকিত মানুষের মধ্যে। এই জ্ঞান ও মেধা যেন সাধারণ মানুষদের সাহস যোগায়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা তখনই শক্তি যখন তা প্রয়োগ করা হয় পরিবর্তনের জন্য।
২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ বিষয়ে নাহিদ বলেন, বিশ্বসভায় আমরা স্থান করে নেবো। এখন কেবল দারিদ্র বিমোচনই আমদের বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য দেশের অর্থনীতির হাল ধরার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ প্রকৃত উচ্চ শিক্ষিত নাগরিক দরকার। তেমন নাগরিক যেন আমরা তৈরি করতে পারি, সে কাজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর করতে হবে।
সমাবর্তন বক্তা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান। আইইউবির উপাচার্য অধ্যাপক এম ওমর রহমান, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাশেদ চৌধুরী এবং ইএসটিসিডির চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী।
সমাবর্তনে আইইউবির চারজন কৃতী শিক্ষার্থীকে তাদের অসামান্য কৃতিত্বের জন্য বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। শিক্ষায় মাহতাব ফাহিম, সংস্কৃতিতে সাকিবা বিনতে আলী, সমাজসেবায় সালমান আহমেদ এবং ক্রীড়ায় হিশাম রহমানকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এর মধ্যে সাকিবা বিনতে আলীকে অল-রাউন্ডার সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১০৫ জন শিক্ষার্থী পেয়েছেন শিক্ষা ক্ষেত্রের বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি।
এছাড়াও শিক্ষার্থী জামিলা ইউসুফকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ-০৪ অর্জন করে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করায় বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।