সম্পর্কের নতুন দিগন্তে চীন-বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র সচিব
আপডেটঃ 11:50 pm | October 14, 2016

স্টাফ রিপোর্টার : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরে দুই পক্ষের সফল আলোচনার মধ্য দিয়ে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের ‘নতুন দিগন্ত’ উন্মোচিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। তিনি আরও বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক এখন কৌশলগত সম্পর্কে উন্নীত হয়েছে।
শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর শহীদুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘শি জিনপিংয়ের এই সফরের মধ্য দিয়ে পারষ্পারিক সম্পর্কে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক এখন কৌশলগত সম্পর্কে পরিণত হয়েছে।’ এর ফলে বাংলাদেশ ও চীনের আর্থ-সামাজিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য বিষয়াদির ব্যাপ্তি আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
শহীদুল হক জানান, দুই নেতার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ১৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক এবং ১২টি ঋণ ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ওয়ান বেল্ট-ওয়ান রোড উদ্যোগ, অবকাঠামো, সড়ক, রেল, জলপথ, আইসিটি, তথ্য, মেরিটাইম সহযোগিতা ইত্যাদিসহ নতুন কয়েকটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে।
ঋণ চুক্তির আর্থিক পরিমাণ ও বিস্তারিত জানতে কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি। জানান, চীন পাট এবং তৈরি পোশাক শিল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এলক্ষ্যে উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক হয়েছে বলে জানান।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বৈঠকে উঠে আসা বিষয়গুলোর ‘রাজনৈতিক দিক রয়েছে। আগামীতে বিভিন্ন পর্যায়ে দুই দেশের সফর দেখা যাবে। ট্রেড ও ইনভেসমেন্টে নতুন ক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন শি জিনপিং। দ্বিপাক্ষিক এ বৈঠক বিকাল ৩.১৫ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হয় সোয়া চারটায়। বৈঠকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ওই ২৬টি চুক্তি ও স্মারক স্বাক্ষর করেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
এরপর শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তারপর বিকেল সোয়া পাঁচটায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সর্বশেষ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি।