ধোবাউড়া তারাকান্দা ভায়া ময়মনসিংহ সড়কের বেহাল দশা পথযাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে
আপডেটঃ 9:13 pm | February 09, 2017

ধোবাউড়া প্রতিনিধি ॥ ধোবাউড়া উপজেলা সদর হতে ময়মনসিংহ জেলা সদরে যোগাযোগের একমাত্র ধোবাউড়া ভায়া তারাকান্দা পাঁকা সড়কটি ভেঙ্গে বড় বড় গর্ত হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রয়োজনের তাগিদে জীবন বাজী রেখে যাত্রী সাধারনের চলাচল করতে হচ্ছে জেলা শহরে। প্রায় প্রতিদিন এ সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে যাত্রী সাধারন। ধোবাউড়া হতে তারাকান্দা ৩৮ কিলোমিটার এই পাঁকা সড়কটির মেরামতের কাজ করছে ময়মসিংহ- এল,জি, ই,ডি বিভাগ।এর মাঝে ধোবাউড়া – গোয়াতলা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার পাঁকা সড়কটি ধোবাউড়া এল, জি, ই,ডি অফিস ঠিকাদারের মাধ্যমে প্রায় ৩ বছর যাবৎ ২ কোটি টাকা ব্যয়ে মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজটির ধোবাউড়া বাজারের অংশ বাদে ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ঠিকাদার কাজটি সমাপ্ত করে। প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা রানিং বিল নেওয়া পর ঠিকাদার চুড়ান্ত বিল উত্তোলনের পূর্বেই সড়কটি ভেঙ্গে পুর্বের রুপ ধারন করেছে। গোয়াতলা থেকে তারাকান্দা পাঁকা সড়কের মেরামতের কাজটি ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে তারাকান্দা এল,জি,ই,ডি অফিস রাজশাহীর ঠিকাদার শাহ জাহানের মাধ্যমে পাইলট প্রকল্পের আওতায় ২ বছরে ২৪ কিলোমিটারের মাঝে ৫ কিলোমিটার সড়কের কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়।এল,জি,ই,ডির ঠিকাদার শাহ জাহান শর্ত মতে কাজটি বাস্তবায়ন করতে ব্যার্থ হওয়ায় টেন্ডারটি বাতিল করা হয়। তারাকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ জানান, সড়কটি বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রাক্কলন তৈরি করে তিনটি পেকেজে অনুমোদনের জন্য এল জি ইডির গ্রামীন যোগাযোগ উন্নয়ন প্রকল্পে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, আনুমোদন হয়ে আসলে এল,জি,ইডি ময়মনসিংহ টেন্ডার আহবান করবে। নানা জটিলতা সম্মন্ন করে গোয়াতলা তারাকান্দা সড়কের মেরামতের কাজটি সমাপ্ত করতে কমপক্ষে ৫থেকে ৬ বছর লাগবে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে গোয়াতলা বাজারের কংশ নদীর উপড় ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড টানানো বেইলী ব্রীজটির উপর দিয়ে বাস চলাচল করছেই এর মাঝে রাতে চলছে শতাদিক বালির ট্রাক। শ্রমিক নেতা আব্দুল কুদ্দুছ জানান, সড়ক ও ব্রীজটি দ্রুত মেরামত না করা হলে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে অত্র উপজেলায়। উপজেলা প্রকৌশলী শাহনূর ফেরদৌস জানান, ব্রীজগুলি টেন্ডার দেওয়া হয়েছে, দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু হবে। তিনি আরও জানান, সড়কের কাজ চলছে। কবে কাজ শেষ হবে তার কোন সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি। আর কতদিন জীবন বাজি রেখে ধোবাউড়ার প্রশ্চাতপদ ভাগ্যাহত যাত্রীদের চলাচল করতে হবে তা কেউ বলতে পারেনা ।